ব্যাংক জনসাধারণের কাছ থেকে আমানত হিসেবে অর্থ সংগ্রহ করে এবং জনগণের প্রয়োজনেই তা ঋণ হিসেবে প্রদান করে। কিন্তু অসংখ্য গ্রাহকদের অর্থ সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা এবং তারল্য বজায় রেখে ঋণ প্রদান করা অত্যন্ত ড. এ.আর. খান-এর মতে, “ব্যাংকের নিজস্ব নথিপত্রে যে প্রতীক বা ঠিকানার মাধ্যমে প্রতিটি মক্কেলের জমা জটিল ব্যাপার। এজন্য ব্যাংককে প্রতিটি গ্রাহকের নামে আলাদা হিসাব সংরক্ষণ করতে হয়, যা ব্যাংক হিসাব নামে পরিচিত। সাধারণ অর্থে, আমানতকারীর নামে ব্যাংকে যে হিসাব খোলা হয় তাকে ব্যাংক হিসাব বলে।
ব্যাপক অর্থে, আমানতকারীদের আমানতি অর্থের নিরাপত্তা রক্ষার্থে এবং তাদের সাথে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য অর্থাৎ তাদের হিসাবে অর্থ জমা ও আমানতি অর্থ থেকে উত্তোলনের সুযোগ দেওয়ার জন্য ব্যাংক আমানতকারীদের জন্য যে পৃথক হিসাব খুলে থাকে তাকে ব্যাংক হিসাব বলে ।
ও উত্তোলনের ব্যবহার দেখানো হয় তাকে ব্যাংক হিসাব বলা হয়।” সুতরাং, উপরিউক্ত আলোচনায় ব্যাংক হিসাব বলতে আমানতকারীর নামে রক্ষিত হিসাবকেই বোঝায়। এর মাধ্যমে আমানতকারীর জমাকৃত অর্থ গ্রহণ এবং উত্তোলনের সুযোগ দিয়ে থাকে। গ্রাহক ও ব্যাংক উভয়ের সুযোগ-সুবিধার কথা বিবেচনা করে ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের হিসাব খুলে থাকে। এগুলো হলো চলতি হিসাব, সঞ্চয়ী হিসাব ও স্থায়ী হিসাব। জনগণের আয়, পেশা ও চাহিদা অনুযায়ী তারা এই তিন প্রকারের যেকোনো হিসাব খুলতে পারে।
ব্যাংকিং সেবা নেওয়ার প্রবেশদ্বার কোনটি?ব্যাংক হিসাব হলো ব্যাংকিং সেবা নেওয়ার প্রবেশদ্বার।এটি গ্রাহকের সাথে সম্পর্ক রক্ষা ও আর্থিক লেনদেনের প্রধান মাধ্যম। ব্যাংকে হিসাব না খুলে কোনো ব্যাংকিং সেবা পাওয়া যায় না। তাই বলা যায়, ব্যাংক হিসাব হলো গ্রাহকের ব্যাংকিং সেবা নেওয়ার প্রবেশদ্বার। |
আরও দেখুন...